1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  3. info@wp-security.org : Security_90903 :
  4. : wp_update-f97b9a8d :
  5. polyanitsya2022@rambler.ru : wpcore :
  6. pwtadmin@debidwarerjanomot.com : :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেবীদ্বারে বিএনপির বর্ষবরণ উৎসবে পান্তা-ইলিশ দেবীদ্বারে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ও রেলী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ১৪ এপ্রিল শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ করবে দেবীদ্ববাসী বেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত দেবীদ্বারে ভিক্ষুকের ঘরে আশ্রয় পাগলি ও তার নবজাতকের ঠিকানা এখন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র দেবীদ্বার অক্সফোর্ড স্কুলের বার্ষিক মিলাদ দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত দেবীদ্বারে শিশু মেয়েক ধর্ষনের অভিযোগে বাবা আটক দেবীদ্বারে পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু কত মানুষ দেখি, ফয়সাল কে দেখিনা, ঈদ কাটলো চোঁখের পানিতে মায়ের দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ১৪ এপ্রিল শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ করবে দেবীদ্ববাসী

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬৮ বার দেখা হয়েছে
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী  ১৪ এপ্রিল শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ করবে দেবীদ্ববাসী
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
  • এ আর আহমেদ হোসাইন

উপমহাদেশের বাম প্রগতিশীল রাজনীতিতে আলো ছড়ানো অনন্য ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা। ১৯৭১-এ ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সাবেক সভাপতি, ‘কুঁড়েঘর প্রতীকের মোজাফ্ফরখ্যাত প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের আজ ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ-১৪৩২ বাংলা) ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের সম্ভ্রান্ত ভূইয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা স্কুল শিক্ষক আলহাজ্ব কেয়াম উদ্দিন ভূইয়া, মা আফজারুন্নেছা।
তিনি দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী, দেবীদ্বার রেয়াজউদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩৯ সালে মেট্টিক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ইউনেস্কোর ডিপ্লোমা লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করার আগে চট্রগ্রাম সরকারী কলেজ ও ঢাকা কলেজ সহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।
কিন্তু শিক্ষকতা পেশা তাকে বেশি দিন আটকে রাখতে পারে নি। তিনি শোষিত, নিপিড়িত, নির্যাতি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে চলে আসেন জনগণের কাতারে। ১৯৩৭ সালে তার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি। যদিও সক্রিয়ভাবে (চাকুরি ছেড়ে দিয়ে) রাজনীতিতে আসেন ১৯৫৪ সালে। তখন তিনি দেবীদ্বার আসন থেকে মুসলিম লীগ থেকে মনোনীত সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী খান বাহাদুর কায়দে আযম মৌলভী মফিজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে প্রথম বারের মত এমপি নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালে তিনি পূনঃরায় জাতীয় সংসদের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে ন্যাপ, সিপিবি এবং প্রগতিশীল শক্তির প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
চল্লিশের দশকে যারা ছাত্রাবস্থায় বামপন্থায় দীক্ষা নিয়েছিলেন, মোজাফফর আহমদ তাঁদের একজন। হয়ে পড়েন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মোজাফফর আহমদের একনিষ্ঠ অনুসারী। ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনকালে তাঁর আজিমপুর কলোনির ৮/আই, নাম্বারের বাসায় নিষিদ্ধঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির নিয়মিত বৈঠক করতেন। তৎকালিন কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দদের মধ্যে কমরেড নেপাল নাগ, কমরেড খোকা রায়, কমরেড মনিসিংহ, কমরেড অনিল মুখার্জি, কমরেড সত্যেন সেন অন্যতম। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।
কুঁড়েঘর প্রতীক খ্যাত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব সরকার তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করলে আত্মগোপনে চলে যান এবং ১৯৬৬ সালে তিনি প্রকাশ্য রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেন। প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী বাম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ১৯৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর রংপুর জেলায় অনুষ্ঠিত এক কাউন্সিল অধিবেশনের পর চীনপন্থী ও মস্কোপন্থী-এ দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চীনপন্থী ন্যাপের সভাপতি হন মাওলানা ভাসানী এবং মস্কোপন্থী ন্যাপের সভাপতি হন সীমান্ত প্রদেশের খান আবদুল ওয়ালী খান। মস্কো শিবিরে পূর্ব পাকিস্তানপন্থী ন্যাপের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এ অংশ মোজাফফর ন্যাপ নামেও পরিচিত ছিল। ১৯৬৯-এ আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের কারনে গ্রেফতার হন। ১৯৭১‘র স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান নেতৃত্বের অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। তিনি স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন। ওই সময় তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৯ ইং সনে কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮২সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শুরুতে তিনি কিছুদিনের জন্য কারারুদ্ধ হন। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে প্রথম সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, বুলগেরিয়া, অস্ট্রিয়া, ভারত, লিবিয়া, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যসহ পূর্ব ও পশ্চিম ইউরোপের বহু দেশ সফর করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ বাম নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ৪০শের দশক থেকে দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ছিল বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।
তার রাজনৈতিক জীবন ছিল অত্যন্ত বর্নিল। ১৯৩৭ সালে মাত্র ১৫ বছরের কিশোর বয়স থেকেই তিনি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ১৯৩৭ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা গরুবাজারে বৃটিশ হটাও আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক জনসভায় মহত্মা গান্ধী ভাষন দেয়ার সংবাদে গান্ধীকে দেখার জন্য অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ ওই সভায় বাড়ি থেকে পায়ে হেটে যোগদান করেন। তখন তার ধারনা ছিল একটি জাতীয় পোকা গান্ধীজী দেখতে কেমন। যখন দেখলেন গামছা পড়া লাঠি ভর করে এক ব্যক্তি (গান্ধীজি) মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিচ্ছেন,- ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই হো- এক হো, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাকো খতম কর’ আহবান জানিয়ে আরো দু’একটি কথা বলেই তিনি বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে যান, তখন তিনি অবাক হলেন, এতোবড় নেতা যাকে দেখতে এলাম, বক্তৃতা শোনতে এলাম, তিনি একটি উপদেশমূলক আহবান জানিয়ে চলে গেলেন ! সেই মর্মার্থ খুঁজতে যেয়ে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান।
তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ফাঁকে ফাঁকে ‘সমাজতন্ত্র কি এবং কেন? প্রকৃত গণতন্ত্র তথা সমাজতন্ত্র সম্পর্কে জানার কথা’, ‘অমার্কসবাদী সমাজতন্ত্র’, ‘কিছু কথা’, ‘মুক্তির পথ’, ‘রাজনৈতিক পরিভাষা’, ‘সমাজন্ত্রের সৈনিক হইতে হইলে’ ইত্যাদি তাঁরলেখা বইগুলোর মধ্যে উল্যেখযোগ্য বই।
২০১৫ সালে তাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ দেওয়ার ঘোষণা দিলে তিনি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘রাজনীতির অর্থ দেশ এবং মানুষের সেবা। পদ বা পদবির জন্য কখনো রাজনীতি করিনি। পদক দিলে বা নিলেই যে মানুষ সম্মানিত হয় এই দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি বিশ্বাসী নই। দেশপ্রেম ও মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম, কোনো পদক বা পদ-পদবি আমাকে উদ্ভূদ্ধ করেনি। সত্যিকার অর্থে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তারা কেউই কোনো প্রাপ্তির আশায় যাননি।’
ঘটনাবহুল বিশ্বব্যবস্থায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তাধারা ও দূরদর্শিতা বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী বলে শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে। দেশপ্রেমে জাগ্রত রাজনৈতিক কর্মী সৃষ্টির প্রয়াসে মদনপুরে তার প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের একমাত্র শিক্ষায়তন ‘সামাজিক বিজ্ঞান পরিষদ’। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমুহূর্তে প্রায় নিষ্ক্রিয় এবং বিভক্ত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) একাংশের সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর নিজেকে ‘কুঁড়েঘরের মোজাফফর’ বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের প্রগতিশীল- গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবাদপ্রতিম এ ব্যক্তিত্ব নিজেকে সাদামাটাভাবে উপস্থাপন করতে ভালোবেসেছেন আজীবন। অধ্যাপক আহমদ ব্যক্তিজীবনে কথাবার্তা বলেন কিছুটা কৌতুকমিশ্রিতভাবে; কখনো থাকে প্রচ্ছন্ন হেঁয়ালির ছোঁয়া।
স্রোতের প্রতিকূলে চলার সেই দুঃসাহস নীতিবোধ, দেশপ্রেম, আদর্শ তাকে এক ইঞ্চি পরিমাণও বিচ্যুত করতে পারেনি।
এনেতা নিজের পরিচয় দিয়ে বলতে আমি মোজাফ্ফর আহমেদ নুরী, পথে পথে ঘুরি। দরিদ্র মানুষের অবস্থান তুলে ধরতে যেয়ে বলতেন,- ‘ভর্ত্তার নিচে তরকারী নাই, নেংটির নিচে কাপড় নাই, চকিদারের নিচে চাকরী নাই।’ আমি একজন বক্তা যেন তুলা গাছের তক্তা’। এ উক্তিগুলো এখনো গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত আছে।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ রাজনীতি নিয়ে বলেছেন,- ‘রাজনীতি ব্যবসা নয়, পেশাও নয়। রাজনীতি একটি ওয়াদা। রাজনীতির মূল লক্ষ্য হল মানুষের সেবা করা। রাজনীতির মুল ভিত্তি হল স্বদেশের প্রতি মমত্ববোধ, দেশের কল্যানে ও জনগনের সার্বিক কল্যানে অবিরাম সংগ্রাম করে যাওয়া, যে কোন ত্যাগ নিমিত্তে সদা প্রস্তত থাকা’।
১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় আমবাগানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়ে যায়। দেশের রাজধানী হল এই মুজিবনগর। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ স্বাধীনতা সংগ্রামের মুল নেতৃত্বও কেবল একজন গুরুত্বপূর্ন মুক্তিযোদ্বাই ছিলেন না; একই সঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য। ওই কমিটির সদস্যরা হলেন,- আহবায়ক- তাজউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), সদস্য- খন্দকার মোশতাক আহমদ(আওয়ামী লীগ), সদস্য- মাওলানা আবদুল হামিদ খান (ন্যাপ ভাসানী), সদস্য- অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ (ন্যাপ (মোজাফ্ফর), সদস্য- মনোরঞ্জন ধর (জাতীয় কংগ্রেস), সদস্য- কমরেড মনি সিংহ (কমিউনিষ্ট পার্টি)। মুক্তিযুদ্বের সময় তিনি স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সর্মথন আদায়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন এবং সে সময় তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তিনি বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন আদায়ের লক্ষে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে যোগদান করা করেন। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করেন। ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করা হলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করে। ৫ ডিসেম্বর একই প্রস্তাব আনা হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ২য় বার ভেটো দেয়। এসময় “তাস” মারফত এক বিবৃতিতে সোভিয়েট সরকার “পূর্ব বাংলার জনগণের আইন সঙ্গত অধিকার ও স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের দাবী জানানো হয়। আমেরিকা যখন দেখল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে তখন পাকিস্তানের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ৯ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয়া হলে ১২ ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রবেশ করলে সোভিয়েট ইউনিয়ন একটি অত্যাধুনিক অষ্টম নৌবহর পাঠায়। এসংবাদ পেয়ে ৭ম নৌবহর পিছু হটে যায়।
দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭টা ৪৯ মিনিটে ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি এলাহাবাদ ‘চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’র কার্যালয়ের সামনের মাঠে কবরস্ত করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২১
Theme Customized BY NewsFresh.Com
ব্রেকিং নিউজঃ
দেবীদ্বারে বিএনপির বর্ষবরণ উৎসবে পান্তা-ইলিশদেবীদ্বারে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ও রেলীঅধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ১৪ এপ্রিল শ্রদ্ধা-ভালবাসায় স্মরণ করবে দেবীদ্ববাসীবেতুয়া হাশেমিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিতদেবীদ্বারে ভিক্ষুকের ঘরে আশ্রয় পাগলি ও তার নবজাতকের ঠিকানা এখন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রদেবীদ্বার অক্সফোর্ড স্কুলের বার্ষিক মিলাদ দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিতদেবীদ্বারে শিশু মেয়েক ধর্ষনের অভিযোগে বাবা আটকদেবীদ্বারে পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্রের মৃত্যুকত মানুষ দেখি, ফয়সাল কে দেখিনা, ঈদ কাটলো চোঁখের পানিতে মায়েরদেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত