পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র এক দিন বাকী। জমে উঠেছে দেবীদ্বার এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামের গরু- ছাগলের হাট। শনিবার সকাল থেকে গরু- ছাগল নিয়ে হাটে আসছে বিক্রেতারা। পুরো বাজারের চিত্র ঘুরে দেখা যায় হাটে প্রচুর গরু- ছাগল নিয়ে আসলেও বেশী দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। দুপুরে মেঘাছন্ন আবহাওয়া দেখে বিক্রেতারা আশন্কা করছিলেন বৃষ্টি আসলে ভাটা পড়বে গরু বিক্রেতার এতে হাটে ক্রেতা কম আসবে। কিন্তু তা না হয়ে কানায় কানায় পুরো মাঠে গরু বিক্রেতার দৃশ্য যেমনটি লক্ষ্যে করা যায় তেমনি দামেও বিক্রি করছে বিক্রেতারা, কমতি নেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। বাজার থেকে গরু ক্রেতা মো. খোরশেম আলম হাজারী বলেন ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ১ টি গরু ক্রয় করলাম তিনি বলেন বর্তমান বাজার মূল্যের দামে বিক্রেতারা বেশী দামে বিক্রি করছে। মুরাদনগর ধামঘর গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন মাঝারি ধরনের গরু প্রচুর বিক্রি হচ্ছে তবে বেশী দামে। এদিকে স্থানীয় পুরাতন বাজারের মো. কামরুল হাসান বলেন ছোট সাইজের গরু বেশী দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা আর বড় সাইজের গরু নিয়ে হতাশায় ভোগান্তীতে আছে বিক্রেতা। উপজেলার পদ্মকোট গ্রামের জয়নাল আবেদীন এগ্রো ফার্মের মালিক জানান তিনি ৬ টি বড় গরু বাজারে এনে ১ টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন আর বাকী ৫ টি গুরু নিয়ে মাঠে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে, বিরাল্লা গ্রামের আল আমানত এগ্রোফার্মের মো. আলম জানান ৫ টি বড় সাইজের গরু বাজারে তুলে ২ টি বিক্রি করেছেন আর বাকী ৩ টি গরু বিক্রি করা নিয়ে তিনি ভাবছেন। তেয়াপুষ্করনী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ২ টি গরু ১ লাখ ৮ ৫ হাজার টাকা করে কেনা ১ বছর পালন করে এ বাজারে ২ লাখ টাকা করে কিনতে চায় ক্রেতারা তার নূল টাকাই হারাবে বলে তিনি জানান। মুরাদনগর কোম্পানীগন্জ থেকে আসা মো. হাসান ১ টি ছাগল ক্রয় করেন ২৯ হাজার ৫’শ টাকা দিয়ে তিনি বলেন ছোট ছাগল বিক্রি করছে বেশী দামে আর বড় ছাগল ক্রেতা কম দেখা যায়।
বাজারে আসা একাদিক ক্রেতাররা জানান, ঈদের আর মাত্র ১ দিন বাকী থাকায় বিক্রেতারা তাদের লোকসানকে পুষিয়ে নিতে কম দামে গরু ছাড়ছেনা তাই বেশী দামে গরু ক্রয় করছে ক্রেতারা।