ওমরা করতে গিয়ে স্ত্রী রাবেয়ার সাথে মোবাইলে শেষ কথা ছিলো আগামী ২ এপ্রিল রমজানের মধ্যেই দেশের বাড়িতে ফিরে আসবো,দোয়া কইরো ভালো থেকো,গত ২৭ মার্চ সোমবার সকালে ওমরা পালন করতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পূর্বে সৌদি আরব থেকে এমন কথা স্ত্রীর সাথে বলেন নিহত গিয়াস উদ্দিন (৫৭)। কিন্তু আর জীবিত ফিরে আসা হলোনা সৌদি প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন। নিহতের বন্ধু আব্দুর রব ওরফে সবুজ একই দিনে পরের গাড়ি দিয়ে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন,সামনের গাড়িতে ছিল নিহত গিয়াস উদ্দিন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খবর বাড়িতে দিলে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিহতের পরিবার। নিহতের বড় ছেলে দশম শ্রেনীর ছাত্র আব্দুর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়ে আজকালের খবরকে জানান কেমনে বাবার লাশ দেশে আনবো,সরকার কি ব্যবস্থা করবে? সৌদিতে আমাদের কোনো আত্নীয়-স্বজন নেই। নিহত গিয়াস উদ্দিন কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের মীর বাড়ির আব্দুল হামিদের ছেলে। ২০০১ সাল থেকে তিনি সৌদি আরব প্রবাসী তার পাসপোর্ট নং-(EB0800005)৬ বছর আগে সে দেশে এসেছে। তার ১ছেলে,২ মেয়ে। বড় ছেলে মো.আবদুর রহমান(১৫),মেয়ে সাদিয়া(১২) ছোট মেয়ে আমেনা(৬)জন্মের পর তার বাবাকে দেখেনি,পেতে চায় পরিবার তার লাশ।গত সোমবার সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা সংযোগ সড়কে বাস উল্টে গিয়ে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহতের মধ্যে ১৩ বাংলাদেশী এর মধ্যে কুমিল্লা দেবীদ্বারের নিহত মো.গিয়াস উদ্দিন(৫৭)ছিলেন।