রোজার বাকি আর একমাসেরও কম সময়। প্রতিবছরই রোজার মাস ঘিরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছামতো নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও একই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। পেঁয়াজ, মুরগি, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে দেদার।
দুই সপ্তাহ আগে দেশি মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। আর শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। একই অবস্থা ব্রয়লার মুরগির। দুই সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১৩০ টাকা কেজি, আর এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৬০ টাকা।
লেয়ার মোরগের দাম ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০ টাকা। আর পাকিস্তানি বা সোনালী মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৬০ টাকা। যা এতদিন বিক্রি হচ্ছিল ২৮০-৩০০ টাকায়।
প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বিভিন্ন মুদি দোকানগুলো প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১৩০ টাকায় বিক্রি করছে।
এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকার সব স্তরের তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি দোকানে প্রতি লিটার ১১০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১১৩ টাকায়। সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে ৩ টাকা বেশি রাখছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.